শনিবার ১৮ মে ২০২৪ জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১ ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
নওগাঁর মহাদেবপুরে ফসলী জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। রাতের আঁধারে চুরি করে অবৈধ খনন যন্ত্র (ভ্যেকু মেশিন) দিয়ে পুকুরটি খনন করা হচ্ছিল। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাদেবপুর-মাতাজীহাট পাকা সড়কের সারাসন মোড়ের কাছে সারতা গ্রামের মাঠে ধান খেতে পুকুর খননের কাজটি মঙ্গলবার বন্ধ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ওই মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সড়ক সংলগ্ন বিশাল এলাকা জুড়ে চারদিকে মাটি খুড়ে বাঁধ দিয়ে ভ্যেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করার কাজ চলছে। ভ্যেকু মেশিনের চালক জানালেন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত মাটি খোড়ার কাজ করেছেন। আজও করবেন। ওই জমির মালিক উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের মাতাজীহাট গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে হাজী আবদুর রহিম আবু পুকুরটি খনন করে নিচ্ছেন বলেও চালক জানান।
জানতে চাইলে হাজী আবদুর রহিম নিজেকে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, ওই মাঠে তার প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে তার পুকুর ছিল। খতিয়ানে এখনও পুকুর বলেই উল্লেখ আছে। ১২ বছর আগে তিনি ওই পুকুর ভরাট করে ফসলী জমি বানান। কিন্তু এখন ধান উদপাদনের চেয়ে মাছের চাষে বেশি লাভ। তাই সেখানে আবার পুকুর খনন করছেন।
এ ব্যাপারে বিধিঅনুযায়ী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এর প্রয়োজন মনে করেননি বলে জানান। বিষয়টি মোবাইলফোনে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগকে জানালে তিনি রাতেই কর্মচারী পাঠিয়ে ওই পুকুরের খনন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
তাঁর নির্দেশে পরদিন দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফাত আরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে দেখে পুকুরটির খনন কাজ আর না করার নির্দেশ দেন। ইউএনও জানান, জমির ব্যবহারযোগ্য শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হয়। ১২ বছর আগে অনুমতি না নিয়ে শ্রেণি পরিবর্তন করে একবার অপরাধ করেছেন। এখন আবার করছেন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয়রা বিধিঅনুযায়ী পুকুরের আংশিক খনন করা অংশ ভরাট করার ও আইন অমান্য করায় জমির মালিকের শাস্তি দাবি করেন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়